

সাপ্তাহিক সামাল প্রতিবেদক
প্রশ্নঃদীর্ঘদিন আপনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আছেন। এমনকি ছাত্রদলের রাজনীতিও করেছেন। আপনার রাজনৈতিক জীবনের শুরুটা কীভাবে হয়েছিল?
নাবিলঃ :মূলত কলেজ জীবন থেকে আমার রাজনীতির হাতেখড়ি। আমি যে স্কুলে এবং কলেজে পড়েছি, সেখানে রাজনীতি করার কোনো সুযোগ ছিল না। কিন্তু তখন থেকেই ধানের শীষ বা বিএনপির প্রতি আমার এক ধরনের আগ্রহ ছিল। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আমি ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হই। সেই যে যুক্ত হয়েছি, তারপর থেকে আজও বিএনপির একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে কাজ করছি। ছাত্রদল থেকে আমি কালিহাতী উপজেলা যুবদল দল করেছি।
প্রশ্ন:বর্তমান রাজনৈতিক পরিবেশে বিএনপির সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জগুলো কী কী বলে মনে করেন?
নাবিল-আমি মনে করি, যে কোনো রাজনৈতিক দলের সামনে সবসময় কিছু না কিছু চ্যালেঞ্জ থাকবে, চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করেই সামনে এগোতে হবে। এসব চ্যালেঞ্জ আসে নতুন নতুন আঙ্গিকে। বিগত ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে বিরোধী দল ও মতকে যেভাবে গলা চেপে ধরে রাখা হয়েছিল, বাংলাদেশের ইতিহাসে এমনটা আর ঘটেনি।
বিগত স্বৈরাচারী সরকার বিএনপি তথা বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ধ্বংস করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছে। আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে বিনা দোষে, বিনা অপরাধে নাটক সাজিয়ে কারান্তরীণ করে রাখা হয়েছে। আমাদের প্রিয় নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশান্তরিত করা হয়েছে। জিয়া পরিবারের ওপর যে অত্যাচার এবং অমানবিক নির্যাতন করা হয়েছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে এরকম নির্মমতা আর কোনো পরিবারের ওপর হয়েছে বলে আমার জানা নেই।
খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো কোনোরকম রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন না। প্রকারান্তরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। জিয়া পরিবারের প্রতি মানুষের বিশ্বাস, আস্থা এবং ভালোবাসা অগাধ। বাংলাদেশের স্বাধীনতা বা সার্বভৌমত্ব যেটাই বলি না কেন, বাংলাদেশের ঐক্যের প্রতীক জিয়া পরিবার।
প্রশ্ন:বর্তমান সময়ে বাংলাদেশকে এগিয়ে নেওয়ার পথে তরুণ প্রজন্মের একটি বড় অংশগ্রহণ রয়েছে। সে ক্ষেত্রে বিএনপি দলের মধ্যে তরুণ প্রজন্মের জন্য কী ধরনের সুযোগ তৈরি করছে বলে মনে করেন?
নাবিল-আপনারা জানেন, কিছুদিন আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন স্লোগান যুক্ত করেছেন। স্লোগানটি হলো—‘সবার আগে বাংলাদেশ’। এই স্লোগানটি বিএনপির একটি ব্র্যান্ডিং হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। গত বিজয় দিবসে বিএনপি নতুন এই স্লোগান সামনে রেখে একটু ভিন্ন আঙ্গিকে, ভিন্ন ফরমেশনে হাজির হয়েছিল। এই স্লোগানের মাধ্যমে মূলত তারুণ্যকে প্রমোট করা হয়েছিল।
প্রশ্ন:বিএনপির আগামীর নেতৃত্বে কী ধরনের পরিবর্তন আনা উচিত এবং সেখানে তরুণ রাজনীতিবিদদের অংশগ্রহণ কতটা জরুরি বলে মনে করেন?
নাবিল-বিএনপিতে প্রবীণ অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ যেমন রয়েছেন, ঠিক তেমনি তরুণ উদীয়মান রাজনৈতিক কর্মীও রয়েছেন। আপনি যদি ঢাকা সিটি করপোরেশনের গত নির্বাচনের দিকে তাকান, দেখবেন সেখানে বিএনপির দুজন প্রার্থীই তরুণ। একদিকে তাবিথ আউয়াল, অন্যদিকে ইশরাক হোসেন। তারা দুজনই উদীয়মান রাজনীতিবিদ এবং উচ্চশিক্ষিত।তেমনি আমরা কালিহাতীবাসী মনে করি আমাদের টাঙ্গাইলের কালিহাতী তে ঢাবা বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ,সাবেক ছাত্রনেতা বেনজির আহমেদ টিটো ভাইকে ধানের শীষ প্রতিকে মনোনয়ন দিবেন। তিনি ওর্য়াড থেকে ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সম্মেলনের মাধ্যমে নেত্বত্ব তৈরি করেছেন এবং জনগণ তাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন। সুতরাং বিএনপিতে প্রবীণ অভিজ্ঞ রাজনীতি বিদ্যমান যেমন রয়েছেন, তেমনি তরুণদের নিয়েও কাজ করছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এখানে নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করছেন। তিনি দলে তরুণ নেতৃত্বকে বিকশিত করার সুযোগ করে দিচ্ছেন।