শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ০১:২৮ পূর্বাহ্ন [gtranslate]
Headline
স্মৃতিগুলো তাজা হলো ৯৯ ব্যাচের পুনর্মিলনীতে শ্রীপুরে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বিএনপি নেতা নছ মিয়া শ্রীপুরে জমি সংক্রান্ত বিরোধে গাছ কাটার অভিযোগ, প্রাণনাশের হুমকি সাংবাদিক তুহিন হত্যার প্রতিবাদে গর্জে উঠল গাজীপুর মানববন্ধনে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি সাংবাদিকদের শিক্ষার বাতিঘর ইকবাল সিদ্দিকীর ৫৮তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন দেয়ালপত্রিকা ‘জ্ঞানধ্রুবতারা’ উন্মোচন, স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত। সাংবাদিক হুমায়ুন কবিরকে প্রাণনাশের হুমকি থানায় অভিযোগ। উপজেলা বিএনপির নয়া আহ্বায়ক কমিটিকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের আনন্দ মিছিল  মাদক, চাঁদাবাজি, জমি দখল—সবখানে রিয়ালের হাত, আইনের আওতায় আনতে চায় পুলিশ গাজীপুরে ৮ উপজেলাতে বিএনপি কমিটি ঘোষনা করা হয়। গাজীপুর জেলা মহিলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেফতার।
Headline
  • সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে প্রকাশনায় ৩৪ বছর ।📰বহুল প্রচলিত অনলাইন এবং পিন্ট পত্রিকা  সাপ্তাহিক সামাল  এর বিভাগ, উপজেলা পর্যায় সংবাদকর্মী নিয়োগ চলছে। আগ্রহী প্রার্থীগণ যোগাযোগ করুন: ০১৭১১৮৭৮৫১৮
ছাত্র রাজনীতির সমসাময়িক ভাবনা
/ ৮৪৯ Time View
Update : শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ৫:২৬ অপরাহ্ন
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র রাজনীতি সাধারণত একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং ব্যাপক বিষয়। ছাত্র রাজনীতি শিক্ষার অংশ। ছাত্র রাজনীতির বিষয়ে সঠিক গাইডেন্স ও পর্যবেক্ষণ সামগ্রীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড ও শিক্ষার্থীদের উপর প্রভাব বিস্তার করে।
একজন ছাত্রনেতার গুনাবলী অধিকাংশই সমাজের জন্য উপকারী এবং সমাজের সাথে সম্পর্ক ভালো রাখে। তারা সাধারণত নিয়মনীতি মেনে চলে এবং সময়ে সময়ে ছাত্রদের মধ্যে প্রতিনিধিত্ব করে। তারা বিভিন্ন ছাত্র প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সাংঘর্ষিক সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং ছাত্রদের সুবিধার জন্য কাজ করতে পারে। তারা সাধারণত ভালো বার্তা বা অনুষ্ঠান প্রণালীর মাধ্যমে ছাত্রদের মধ্যে নৈতিক ও মানবিক আচরণ গড়ে তোলে।
ছাত্র রাজনীতির মৌলিক নীতিগুলো বিভিন্ন সংস্কৃতি ও সামাজিক সংস্কৃতিতে ভিন্ন রুপ দেখা যায়, তবে কিছু মৌলিক নীতির ধারণা রাখা যেতে পারে:
১. গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া: ছাত্র সংগঠনগুলি ডেমোক্রেটিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে পারে, অর্থাৎ নির্বাচনী কর্মক্রমে বিচারীক প্রণালী অনুসরণ করতে পারে।
২. শিক্ষার উন্নয়ন: ছাত্র রাজনীতি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার উন্নয়ন এবং ছাত্রদের অধ্যয়নের সুযোগ বাড়াতে ও বিবেচনা করতে পারে।
৩. ছাত্রদের অধিকার এবং মতামতের স্বাধীনতা: নির্বাচিত প্রতিনিধিরা ছাত্রদের মতামত এবং অধিকারের সম্পর্কে যত্ন নেওয়া উচিত।
৪. সামাজিক ন্যায় এবং সমান অধিকার: ছাত্র সংগঠনগুলি সামাজিক ন্যায় এবং সমান অধিকারের প্রতিষ্ঠান হতে পারে, যাতে ছাত্ররা সমানভাবে সুরক্ষিত এবং উন্নত হতে পারে।
এই মৌলিক নীতিগুলি অনুসরণ করে ছাত্র রাজনীতি সঠিক ভাবে পরিচালিত এবং সামাজিক সংগঠনের উন্নতি ও উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ:-
ছাত্রলীগের শিক্ষা, শান্তি, এবং প্রগতির নীতি সাধারণত নিম্নলিখিত মৌলিক বিষয়ের উপর ভিত্তি করে:
১. শিক্ষার উন্নয়ন: ছাত্রলীগ শিক্ষার ক্ষেত্রে প্রাথমিকভাবে উন্নতি ও উন্নয়নের দিকে গুরুত্ব দেয়। তাদের নীতির লক্ষ্য হলো শিক্ষার মানকে আরও উন্নত করা এবং সামাজিক দুর্বলতা মোকাবেলা করা।
২. শান্তি ও অবস্থায়ন: ছাত্রলীগ শান্তি ও সংঘাতের অবস্থান সমতা বিধান করে এবং বিভিন্ন সস্প্রদায়ের সাথে সাম্প্রদায়িক সহযোগিতা করে। তারা সামাজিক স্হিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কে শান্তি এবং সুরক্ষা বজায় রাখার দিকে গুরুত্ব দেয়।
৩. প্রগতি ও বিজ্ঞানপ্রিয়তা: ছাত্রলীগ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির বিকাশ ও উন্নতির দিকে গুরুত্ব দেয়। তারা বিজ্ঞান, প্রযুক্তি, এবং নতুন উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রগতিতে অবদান রাখতে চায়।
ছাত্রলীগের উল্লেখযোগ্য নেতৃত্বের আওতায়, এই নীতিগুলি অন্যান্য ক্ষেত্রে প্রশাসনিক পরিষেবা ও শিক্ষার্থীদের সুযোগ উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
ছাএলীগ বাংলাদেশের একটি প্রধান রাজনীতিক দল। তাদের মৌলিক নীতি নিম্নলিখিত অংশগুলি উল্লেখযোগ্য:
১. গণতান্ত্রিক প্রণালী: ছাএলীগ গণতান্ত্রিক প্রণালীর প্রতি প্রতিষ্ঠানবাদী এবং জনগণের অধিকারের বিশ্বাস রাখে।
২. উন্নয়ন ও সমৃদ্ধিতে অবদান: ছাএলীগ তাদের নীতিতে দেশের উন্নয়ন এবং জনগণের সমৃদ্ধির প্রতি মানবিক ভাবে বিশেষ গুরুত্ব দেয়।
৩. বাংলাদেশ দৃঢ়তা ও স্বাধীনতা: ছাএলীগ বাংলাদেশের দৃঢ়তা এবং স্বাধীনতার প্রতি সমর্থন করে।
৪. সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধ: ছাএলীগ সমাজতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সামাজিক ন্যায়ের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দেয়।
৫. বিশ্বাসযোগ্য সরকার: ছাএলীগ বিশ্বাসযোগ্য এবং প্রশাসনিকভাবে দক্ষ সরকারের গঠন ও পরিচালনা অনুসরন করে।
এই মৌলিক নীতির আওতায়, ছাএলীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং দেশের উন্নতি এবং প্রগতির দিকে অবদান রাখে।
বাংলাদেশ ছাত্রদল:-
ছাত্র দলের মূল নীতি হল ছাত্রদের অধিকার ও সুবিধাগুলির প্রতি সচেতনতা বৃদ্ধি করা, শিক্ষা ও ছাত্রদের সম্পর্কের সার্বজনিক স্বাধীনতা ও স্বাধীন মতাবলী সংরক্ষণ করা, এবং ছাত্রদের মতামত ও মতাদের প্রতি সরকারের দায়িত্বশীলতা বৃদ্ধি করা। এছাড়া, অনেক ছাত্র দল সামাজিক ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আন্দোলন করে এবং ছাত্রদের মানবিক ও অর্থনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে কাজ করে।
ছাএদল বাংলাদেশের প্রধান ছাত্রসংগঠন হিসেবে পরিচিত। তাদের শিক্ষা, ঐক্য, এবং প্রগতির নীতি নিম্নলিখিত মৌলিক বিষয়ে ভিত্তি করে:
১. শিক্ষার প্রসার ও গুণগত উন্নয়ন: ছাএদলের নীতির লক্ষ্য হলো সার্বিক শিক্ষার প্রসার এবং ছাত্রদের মধ্যে শিক্ষার গুণগত উন্নয়ন। তারা শিক্ষার মান ও গুণগতভাবে উন্নতির দিকে গুরুত্ব দেয়।
২. ঐক্য ও সংহতি: ছাএদল ছাত্রদের মধ্যে সংহতি ও ঐক্যের প্রচুর গুরুত্ব দেয়। তারা ছাত্রদের মধ্যে সহযোগিতা ও ঐক্য বাড়ানোর দিকে কাজ করে।
৩. সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় প্রগতি: ছাএদলের নীতির মধ্যে সামাজিক ও রাষ্ট্রিয় প্রগতিতে অবদান রাখা উল্লেখযোগ্য বিষয়। তারা বাংলাদেশের উন্নতি ও সামাজিক সম্প্রদায়ের উন্নতির জন্য কাজ করে।
৪. বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সামরিক বাহিনীর সমর্থন: ছাএদল বাংলাদেশের স্বাধীনতা এবং সামরিক বাহিনীর সমর্থনের পক্ষপাত করে এবং দেশের সুরক্ষা এবং অধিকারের বিষয়ে সচেতন রাখে।
ছাএদল এই নীতির আওতায় ছাত্রদের সামাজিক সম্প্রদায়ে এবং রাষ্ট্রের উন্নতি ও প্রগতিতে অবদান রাখতে প্রতিষ্ঠিত।
জাতীয় ছাত্রসমাজ:-
ছাত্র সমাজের মৌলিক নীতি অনেক গুরুত্বপূর্ণ এর মধ্যে শিক্ষার গুণগত পরিমাণ ও উন্নতি, ছাত্রদের সুরক্ষা ও সুরক্ষিত পরিবেশ, সামাজিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা, ন্যায্য অনুশাসন ও দৃঢ় নীতিনিষ্ঠতা অন্তর্ভুক্ত। ছাত্র সমাজের এই মৌলিক নীতির মাধ্যমে তাদের সামাজিক, মানসিক, এবং শিক্ষাগত উন্নতির জন্য ভাল পরিবেশ সৃষ্টি করা হয়।
ছাত্র সমাজের মূল নীতি হল বিভিন্ন সংস্কৃতি, সমাজ, এবং সম্প্রদায়ের মধ্যে সমন্বয় সাধন করা তবে, এর মধ্যে কিছু মূল নীতি রয়েছে যা সাধারণভাবে প্রযোজ্য হতে পারে, যেমন:
১.শিক্ষাগত উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় পরিবেশ সৃষ্টি করা: শিক্ষার জন্য উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি করা, যাতে ছাত্রদের শিক্ষাগত উন্নতি হতে পারে।
২. সমাজিক সংযোগ এবং সহযোগিতা: ছাত্রদের মধ্যে সমাজিক সংযোগ ও সহযোগিতা উন্নয়ন করা যাতে তারা একে অপরের সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে পারে।
৩. অনুশাসন ও দৃঢ় নীতিনিষ্ঠতা: ছাত্রদের মধ্যে অনুশাসন ও নীতিপ্রতিষ্ঠা উন্নত করা, যাতে তারা সুনাগরিক হতে পারে।
৪. সকলের সমান অধিকার ও সুরক্ষা: ছাত্রদের মধ্যে সমান অধিকার এবং সুরক্ষা নিশ্চিত করা, যাতে কোনো একটি বা কয়েকটি ছাত্র সমাজের কোনো ধরনের অপমান বা অন্যায় অনুভব না করে।
৫. শিক্ষার গুণগত পরিমাণ ও উন্নতির সমর্থন: ছাত্রদের শিক্ষার গুণগত পরিমাণ ও উন্নতির জন্য সমর্থন ও উৎসাহ প্রদান করা।
এই মূল নীতির মাধ্যমে একটি সুস্থ ছাত্র সমাজ উন্নত হতে পারে।
কাজী বোরহান উদ্দিন
লেখক, প্রভাষক ( ব্যবস্থাপনা), কাপাসিয়া ডিগ্রি কলেজ।
আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
Our Like Page